ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত রেলপথ প্রকল্প সহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত রেলপথ প্রকল্প সহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রাণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে রেলের পক্ষ থেকে রুপপুর রেল স্টেশন প্রান্তে বর্নাঢ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বর্নিল সাজে সাজানো হয় পুরো স্টেশনটি।
উদ্বোধনকালে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত ছিলেন পাবনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি,পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন, রেলপথ মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফর রহমান, প্রকল্প পরিচালক আসাদুল হক, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম ইমরুল কায়েস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঈশ্বরদী-রূপপুর রেললাইনসহ নতুন স্টেশনে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহার করা হবে।
এই রেলপথের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভারী যন্ত্রপাতি, মালামাল ছাড়াও ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রস্তুতকৃত মালামাল কন্টেইনারের মাধ্যমে কম খরচে, কম সময়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষ পণ্যবাহী ট্রেনে সহজে মালপত্র আনা নেওয়া করতে পারবে। এতে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন আসবে, জাগরিত হবে ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিতে।
একই সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে রেলপথ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় অনুষ্ঠানের অন্য প্রান্তে কুমিল্লার শশীদল – রাজাপুর, এবং টঙ্গী- জয়দেবপুর সেকশনে সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।