শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ ক্লাব আইজিয়ান এর উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত  আওয়ামীলীগ হত্যায় উৎসাহী দল– ঈশ্বরদীতে রুহুল কবির রিজভী  ঈদ উপলক্ষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া  ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম

কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত গোয়াইনঘাটের খোরশেদের বাড়ীতে শোকের মাতম

হারুন আহামেদ, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি / ৩৬৩ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১, ৭:১৫ অপরাহ্ণ

মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানদের মুখে হাসি ফুটাতে ২৫ বছর আগে কুয়েতে কষ্টের প্রবাসজীবন শুরু করেছিলেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার খোরশেদ আলম (৪২)।

খুব স্বচ্ছলতা ফেরাতে না পারলেও খোরশেদের আয়-রোজগারে কোনোমতে চলে যাচ্ছিলো পরিবার। কিন্তু একটি অগ্নিকাণ্ড ছাই করে দিলো খোরশেদের পরিবারের সদস্যদের সকল স্বপ্ন। তাঁর গ্রামের বাড়িতে এখন কান্নার রোল। মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানদের আর্তনাদে ভারি খোরশেদের বাড়ির আকাশ।

খোরশেদ গোয়াইনঘাট উপজেলার বাঘবাড়ী গ্রামের নেছার আলীর ছেলে। বিবাহিত জীবনে তিনি ৩ ছেলেসন্তানের জনক। তার সন্তানরা হচ্ছেন- আব্দুল হাকিম (১৫), আব্দুর রাহীম (৮) ও আব্দুল মাজেদ (২)।

কুয়েতের আবদালি এলাকায় একটি কৃষি খামারে কাজ করতেন খোরশেদ। শনিবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ওই খামারে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে সিলেট বিভাগের ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে খোরশেদ একজন। ওই খামারে মোট ২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করতেন।

খোরশেদ আলমের স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে সিলেটভিউ-কে বলেন, আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন আমার স্বামী। তাঁর এমন মৃত্যুতে আমরা দু-চোখে এখন অন্ধকার দেখছি। তাছাড়া আমার সন্তানরা তাদের বাবাকে হারানোর সংবাদে দিশেহারা হয়ে গেছে। আমার শ্বাশুড়ি বার বার অজ্ঞান হচ্ছেন ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে।

এদিকে, কুয়েতের এ অগ্নিকাণ্ডে খোরশেদ ছাড়াও কামাল উদ্দিন (৫১) ও মোহাম্মদ ইসলাম (৩২) নামের সিলেট বিভাগের দুজন মারা গেছেন। এর মধ্যে কামাল উদ্দিনের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার মাগুরা গ্রামে ও মোহাম্মদ ইসলামের বাড়ি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার বাটিভারা ফইত গ্রামে।

দুর্ঘটনার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস কিংবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত মোহাম্মদ আলকাছ নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরেছেন।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ও শ্রম কাউন্সেলর আবুল হুসেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ দেশে পাঠানো ও আহতদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!