শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৪ জনের মনোনয়ন দাখিল  ঈশ্বরদী তে এমপির নির্দেশে “পৌর ছাত্রলীগের তীব্র দাবদাহে পিপাসা মেটানোর জন্য শরবত বিতরণ” আমার পক্ষে ভোট চাইলে কারো মাথা নিচু হবে না-আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ  ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে গাড়ির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৯১ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১, ২:২৯ অপরাহ্ণ
ছবি: ফাইল

রাজধানীসহ সারা দেশে সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও চলমান লকডাউনের বাধা উপেক্ষা করে সড়কে বেড়েছে মানুষ ও গাড়ির চাপ। নানা বাহানায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। তবে এর মধ্যে আবার অনেককেই অফিসসহ জরুরি কাজেও বেরে হতে হচ্ছে।

এদিকে, লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মামলা দিচ্ছেন, জরিমানা করছেন। তারপরও করোনাভীতি ভুলে মানুষ নামছেন রাস্তায়।

বুধবার (৭ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুর ১২, ১১, ১০, ১ ও ২ নম্বর এলাকার পাড়া-মহল্লা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিন চলছে আজ। কিন্তু প্রধান সড়ক ও অলিগলি সবখানেই চলাচল বেশি। বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে যানবাহন কম থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে।

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, লকডাউন মানার ক্ষেত্রে একটু ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। জরিমানা, মামলা দিলেও নানা অজুহাতে সড়কে নামছেন মানুষ।

দুপুর ১২টায় মিরপুর ১০ নম্বরে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বেলাল জাগ্রত  সকাল নিউজকে বলেন, ‘মানুষের চাপ বাড়ছে। মামলা করার পরেও তারা আবার সড়কে নামছেন। এছাড়া সড়কে প্রচুর গাড়ি বেড়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা। গাড়ি নিয়ে মানুষ কর্মস্থলে যাচ্ছে। এছাড়া চিকিৎসার প্রয়োজনেও প্রচুর মানুষ বের হচ্ছে। মিরপুর ১০ নম্বরে আমাদের দুইটি টিম কাজ করছে। লকডাউন অমান্য করায় দুপুর পর্যন্ত ১০টি মামলা করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।’

মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বরের প্রতিটি মুখে গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশের তল্লালি থাকায় চেকপোস্ট পার হতে গাড়িগুলোকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছিল।

মিরপুর ১৪ নম্বরে গাড়ির তেমন চাপ না থাকলেও ছিল প্রচুর রিকশা। তিন চাকার এই যানটিতে চড়ে যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

মিরপুর ১২ নম্বরে পুলিশের কোনো চেকপোস্ট চোখে পড়েনি। সড়কে প্রচুর মানুষকে হাঁটাচলা করতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক।

মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরের দিকের পাড়া-মহল্লার রাস্তাগুলোতে দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। প্রথমে অর্ধেক সাটার খোলা রেখে দোকান খুলতে দেখা গেলেও এখন তা মানা হচ্ছে না। বেশিরভাগ দোকানিই পুরো সাটার খোলা রাখছেন। পুলিশের গাড়ি দেখেলে দ্রুত তা নামিয়ে ফেলছেন।

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে সিমেন্টের দোকানদার আউয়াল মিয়া বলেন, ‘গত কাল পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে ২ হাজার টাকা জরিমানা দেয়। আজকে আবার দোকান খুলছি। দোকান বন্ধ রাখলে ভাড়া, সংসারের খরচ উঠবো কোথা থেকে? এ কারণেই এভাবে কেনাবেচা করতে হচ্ছে।’

মিরপুর ২ নম্বরে ফুড পান্ডার ডেলিভারি বয় সামশুল বলেন, ‘এই কয়দিন রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে শান্তি পাইছি। এখন রোডে প্রচুর গাড়ি, সাইকেল অলিগলি দিয়ে চালাতে হচ্ছে।’

মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইনস্পেক্টর মুজিবর বলেন, ‘প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানা তো সাধারণ জনগণ দিচ্ছেন। তার পরেও মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। যারাই লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন, প্রশাসনের নজরে আসলেই তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!