করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার (৭ আগস্ট) দেশব্যাপী গণ টীকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়েও করোনার টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সাবেক এক নাম্বার ওয়ার্ডের নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করোনার টিকা কার্যক্রম আরও জোরদারের অংশ হিসেবে সারাদেশে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। গোয়াইনঘাট উপজেলার ৯ টি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে প্রতিটি কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কেন্দ্র গুলোতে নারী-পুরুষের সরব
উপস্থিত জাতীয় সংসদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন

নির্ধারিত কেন্দ্র গুলোর প্রতিটি বুথে দুজন করে টিকাদানকর্মী ও তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য উপস্থিত থাকলেও কেন্দ্র গুলোতে আাসা নারী-পুরুষের ঢল কোন ভাবেই সামাল দেয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। অপর দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমানের দেয়া শর্ত গুলোর মধ্যে টিকাদান কেন্দ্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ব্যক্তি(নারী-পুরুষ) ও প্রতিবন্ধীদের সর্বাগ্রে টিকাদান করা নির্দেশ ছিলো। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৯ টি টিকাদান কেন্দ্রে টিকার জন্য উপচে পড়া মানুষের ঢলকে সারিবদ্ধ করতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ প্রশংসনীয় ভুমিকা পালন করেছে। কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া নারী-পুরুষ ও কিশোর- কিশোরী সবাই সবার আগে টিকা নিতে চায়। আর কেন্দ্র গুলোতে সবাইকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রাখতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সার্বিক পরিশ্রম গোয়াইনঘাটের টিকাদান কেন্দ্র গুলোতে সুশৃঙ্খল ভাবে প্রথম দিনের মতো গণটিকাদান কর্মসূচি সফল হয়েছে। গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব, গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত দিলীপ কান্ত নাথ ও সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম খান গোয়াইনঘাট থানার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণ টীকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে গোয়াইনঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই প্রলয় রায়,রুস্তুমপুর ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই অনুজ চক্রবর্তী,পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই লিটন, আলীরগাঁও ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই মতিউর রহমান, লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই কাওছার, ডৌবাড়ী ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা আহাদ মিয়া,ফতেহপুর ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই মহসিন, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম, তোয়াকুল ইউনিয়ন বীট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই খালেদ মিয়া ছাড়াও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের এএসআই ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ কঠোর পরিশ্রম করেন। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব বলেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় গণ টীকাদান কেন্দ্র গুলোতে শতভাগ সুশৃঙ্খল বজায় রাখতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ আন্তরিক ভাবে কাজ করেছেন। গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, আজ শনিবার (৭ আগস্ট) গণ টীকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ ব্যক্তির টীকা নিশ্চিত ও নির্ধারণ ছিলো। কিন্তু টিকা নিতে কেন্দ্র গুলোতে হাজার হাজার নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা হয়েছে। ফলে সুশৃঙ্খল বজায় রাখতে পুলিশ আরো কঠোর হতে হয়েছে। তিনি আরো জানান,ওইদিন কেন্দ্র গুলোতে মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি হ্যান্ডমাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতায় কাজ করেছে।