জেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার সাধারণ ৩নং আসনের ৩২ জনপ্রতিনিধি ভোটারকে কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপন ও হাতি মার্কার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আকন তাদের আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এ আসনের সদস্য পদে তালা মার্কার প্রার্থী মাইনুল হোসেন পারভেজ মৃধা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের প্রধান সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপন শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে নির্বাচনে ভোটার জনপ্রতিনিধিদের বাবুগঞ্জ উপজেলার কামিনী রিফ্রেশ জোন হোটেলে আলোচনাসভার কথা বলে একত্র করেন। পরে তাদের গাড়িযোগে সেখান থেকে নিয়ে যান কুয়াকাটায়। সেখানের আবাসিক হোটেল মরিয়মে নিয়ে আটকে রাখেন। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। এদের মধ্যে নারী জনপ্রতিনিধি ভোটারও রয়েছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান মিলন বলেন, ‘আমার ভাই তালা মার্কার প্রার্থী মাইনুল হোসেন পারভেজ মৃধা। আমার ভাই যাতে নির্বাচিত না হতে পারে সে কারণে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপনের নির্দেশনায় নুর আলম চেয়ারম্যান ও মেম্বার দেলোয়ার হোসেন রাড়ি এমনটা করছে। নির্বাচনে হাতি মার্কার প্রার্থী জাহাঙ্গীরের প্রধান সমর্থক হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন। তিনি তার সমর্থিত প্রার্থীকে জয়ী করতে নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছেন। ১৭ তারিখে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের যারা ভোট দেবে তারা যেন না দিতে পারে, তাই এমনটা করা হয়েছে।’
বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল বলেন, ‘৩২ জনপ্রতিনিধি আাটকে রাখার বিষয়টি আমাকে অনেকেই জানিয়েছেন। আমি কাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কাছে যাব। এ বিষয়ে তাকে সব খুলে বলব।’
আগরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান হিমু জানান, তার ইউনিয়নের ৮ জন মেম্বারকে কুয়াকাটায় নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা বারবার তাকে মোবাইল ফোনে কল করছেন তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তাদের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও মোবাইল বন্ধ পাচ্ছেন।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপনকে বারবার মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে হাতি প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন আকন জানান, কে কাকে কোথায় আটকে রেখেছেন তা তার জানা নেই। এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি ভোটারদের কুয়াকাটার একটি হোটেলে আটকে রাখার বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে