নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভার্চ্যুয়াল মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগে ছয়জন প্রভাষক (অস্থায়ী) নিয়োগের কার্যক্রম আগামী রোববার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।
ওই ছয় পদে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা নিয়ে করা পৃথক দুটি রিটের শুনানিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে এ কথা বলেন। একই সঙ্গে ২০ জুন আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
আইনজীবী সূত্রের তথ্যমতে, দর্শন বিভাগে ছয়জন প্রভাষক নিয়োগসহ আটটি বিভাগে নিয়োগের জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দর্শন বিভাগে নিয়োগের জন্য খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ৭ জুন ভার্চ্যুয়াল মৌখিক পরীক্ষা আহ্বান করা হয়। এ অনুসারে ১২ জুন ওই পরীক্ষা হয়। এ অবস্থায় ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে দর্শন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে দর্শন বিভাগের চারজন শিক্ষক এবং দুজন শিক্ষক পদে প্রার্থী পৃথক রিট করেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও সৈয়দা নাসরিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।পরে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কোথাও বলা নেই ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা হবে। চার মাস পর হাঠাৎ করে ৭ জুন ভার্চ্যুয়াল মৌখিক পরীক্ষার জন্য এসএমএস দেওয়া হয়। যেদিন মৌখিক পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়, সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। লকডাউনের কারণে বছরব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লাস বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের ভার্চ্যুয়াল পরীক্ষা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাদেশ সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিক্ষক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভার্চ্যুয়ালি নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে না। কেননা, এ ক্ষেত্রে মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন নেওয়া হয়নি।তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। এ অনুসারে ফেব্রুয়ারিতে ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুসারে অপর সাতটি বিভাগের কয়েকটিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি।