পাবনায় ডাকাতির ঘটনার ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসাথে জড়িত আন্ত:জেলা ডাকাদলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ সরঞ্জাম।
আজ দুপুরে পাবনা সদর থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতে সদর উপজেলার মালঞ্চি বাজারে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতদল চারটি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার, ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইলফোনসহ প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান,বিপিএম, পাবনা মহোদয়ের নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব রোকনুজ্জামান সরকার, পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, আমিনুল ইসলাম ও এসআই(নিঃ) অসিত কুমার বসাক সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকশ টিম একযোগে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে ডাকাত সর্দার আমিনুল ইসলামসহ দলের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আটকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচী থানার চর দুরগাগরাখালী গ্রামের নজাব আলী ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৯), একই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ফজল আলী (২২) , একই থানার কান্দাপাড়া গ্রা মের- মৃত আব্দুল আজিজ মাষ্টারের ছেলে রাজু আহম্মেদ @ রঞ্জ(৪৩), শাহাজাদপুর থানার রুপপুর গ্রামের মৃত কানচু ছেলে ছাদেক (৫২), একই থানার পোতাজিয়া গ্রামের মৃত ওসমান সরদারের ছেলে এরশাদ @ রাজা @ গোলজার (৪২), পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার হায়দারপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধার ছেলে মাহাতাব মৃধা (২৬), পাবনা সদর থানার পয়দা রহিমপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে দুলাল ফকির (২৬)।আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
পরে তাদের দেয়া তথ্যে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ, সিএনজি অটোরিকশা, তাজগুলিসহ একটি শাটারগান জব্দ এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার, মাসুদ আলম, রোকনুজ্জামান সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্ধারকৃত মালামালের বর্ননা
১। একটি শাটারগান ও দুই রাউন্ড তাজা গুলি।
২। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি নীল রংয়ের মিনিট্রাক। যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ন-১৮-৮৯৫৪
৩। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি সবুজ রংয়ের সিএনজি। যাহা রেজিঃ বিহীন।
৪। ১৩ টি লুণ্ঠিত ফ্রিজ।
৫। ৫টি লুন্ঠিত এলইডি টেলিভিশন।
৬। ৫ টি লুন্ঠিত মোবাইল ফোন ।
৭। ডাকাতি মালামাল বিক্রয়ালদ্ধ টাকা সর্বমোট-৭৯৮০৫/-টাকা।
৮। তালা এবং সাটার ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত কাটার মেশিন এবং হাসুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি।
৯। ডাকাতদের ব্যবহুত ১০ টি মোবাইল
১০। লুন্ঠিত হওয়া ৪০ টি স্ক্রাচ কার্ড এবং ৩টি এমবি কার্ড।