জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসীকে শারদীয় দুর্গাপূজায় সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সর্বস্তরের লোকজন ও ধর্মপ্রাণ নর-নারী ভক্তবৃন্দ সবাইকে দুর্গোৎসবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাঙামাটি জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক করোনাযোদ্ধা বিকাশ দাশগুপ্ত।
তিনি সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা বার্তায় জানিয়েছেন, দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দুর্গোৎসবে ঢাক-ঢোলের আওয়াজে উৎসব মূখর পরিবেশে আনন্দ-উল্লাসের শেষ নেই। পূজায় চার দিনব্যাপী শহর-গ্রামগঞ্জে প্রতিমার দর্শনার্থীরা নানান রুপে বাহারি সাজের অপেক্ষায় দুর্গাপূজার মন্ডপগুলো। দিন-রাত পূজা দেখার জন্য ভক্তবৃন্দরা এক মন্ডপ থেকে আর এক মন্ডপে ঘুরে-ফিরে দুর্গামায়ের প্রতিমা প্রদর্শন দর্শনে নতুন বাহারি পোষাকে সেজে শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী এমনকি আবোল-বৃদ্ধাবণিতা সহ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে মিশে পূজামন্ডপে আনন্দ-ঊল্লাসের বন্যা। আরোও চমৎকার লাগে ঢাক-ঢোলের আওয়াজে পূজায় নাচ-গানে অঙ্গভঙ্গি অতুলনীয়। মা দূর্গাকে দেখার আনন্দই আলাদা।
বিকাশ দাশগুপ্ত বলছেন, এদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলেরই বসবাস। সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জাতির জনক মুক্তিযুদ্ধে অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের দরবারে অর্থনৈতিকে স্বনির্ভর দেশে পরিণত। আওয়ামী সরকার বিগত ১৩ বছর পটিয়ায় সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি সহমর্মিতা বিরাজ করছে। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। ১৯৭১ সালে সবাই কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই দেশ গড়ায় ঐক্যবদ্ধ। কোন অপশক্তি যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশের সুষম উন্নয়ন করেছে।তাঁর নেতৃত্বে বিগত ১৩ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, অতীতে তা কোনোও সরকারের আমলে কখনও হয়নি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য আহ্বান জানান। মানুষ সারা দেশে সম্প্রীতির বন্ধনকে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, উৎসব সবার ধর্ম যার যার। সবাই যার যার ধর্ম পালন করি।কারো ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ না করে ঐক্যবদ্ধ থাকি। তিনি সবাইকে দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় আন্তরিক ভালবাসায় সবার জীবনে বয়ে আনুক অবিরাম আনন্দ-উল্লাস। সবাইকে করোনার বিষয়ে সচেতন থেকে সরকারি বিধান মতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলার বিষয়ে দৃষ্টি রেখেই ও জাতি, ধর্ম, বর্ণ সবাইকে দুর্গোৎসবে শারদীয় শুভেচ্ছা।