পাবনার ঈশ্বরদীসহ সারা দেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। দেশের স্মরণকালের ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে ঈশ্বরদী সহ প্রায় সারা দেশে। আকাশে মেঘ নেই, পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতাও কমে গেছে। নিচে নেমে গেছে পানির স্তর।
এমন পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্মে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ পড়ার রীতি রয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত ইস্তেসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদগাহ মাঠে ইস্তেসকার নামাজ পড়তে আসেন কয়েক’শ মুসুল্লি। সেই নামাজে ইমামতি করেন ঈশ্বরদী ছিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম মুফতি আব্দুল হান্নান। মুসল্লী এবং ইমামদের পক্ষে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মুফতি ওয়ালিউল্লাহ সাহেব। নামাজ শেষে গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগে সোমবার রাতে ইস্তেসকার নামাজের আয়োজনের ঘোষণা দেন মুফতি ওলিউল্লাহ । তিনি বলেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকদের নিয়ে ইস্তেসকার সালাত আদায় করতেন। তিনি বলেন, বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.) এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি। সবাইকে নিজ নিজ জায়নামাজ সহ ইস্তেসকার সালাত আদায়ের আহ্বান জানাচ্ছি।