বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী ও কন্যাশিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরঘাটা পৌর শহরের পশ্চিমপাশে পূর্ব হাতেমপুর গ্রামে।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাসার জানান, উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খালের পাড়ের মাটির গর্ত থেকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যাক্তিরা হলেন সুমাইয়া (১৮) ও তার ৯ মাসের শিশু কন্যা সামিরা আক্তার জুঁই।সুমাইয়া পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের রিপনের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিল মুন্সীর ছেলে শাহিন মুন্সীর স্ত্রী।
সুমাইয়া ও শাহিনের প্রেমের সম্পর্ক থেকে দৈহিক মিলন তারপর সন্তান জন্মদানের পর আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে বিয়ে সম্পন্ন হয় প্রেমিক-প্রেমিকার।
তারপর এ ঘটনা ঘটল। অভিযুক্ত স্বামী মো. শাহিন (২২) একজন জেলে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মেয়ের বাবা রিপন বলেন, গত বুধবার তিনি মেয়ে-জামাইকে বাড়িতে দাওয়াত দিয়েছিলন। সুমাইয়া গেলেও শাহিন যায়নি। পরে বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে সুমাইয়া তার মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যায়।এরপর থেকে সুমাইয়া ও তার মেয়ের কোনো খোঁজ মিলছিলো না। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর পুলিশ তল্লাশি শুরু করে।
শনিবার (৩ জুলাই) সকালে পুলিশ আসামির বাড়ির পাশে একটি নির্জন স্থানে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় নিহত স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করে।ধারণা করা হচ্ছে, গত বুধবার তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
ওসি জানান, “সুমাইয়া ও তার মেয়েকে নির্যাতনের পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সুমাইয়ার একটি হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে এবং তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। তার পা ভাজ করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল।
পাথরঘাটার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে সুমাইয়ার স্বামী পলাতক রয়েছেন।
সুমাইয়ার শাশুড়ি শাহিনূর বেগম, নানি শাশুড়ি জাহানারা বেগম ও মামাত দেবর ঈমাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।মামলা রুজুর প্রচেষ্টা চলছে।