শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ ক্লাব আইজিয়ান এর উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত  আওয়ামীলীগ হত্যায় উৎসাহী দল– ঈশ্বরদীতে রুহুল কবির রিজভী  ঈদ উপলক্ষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া  ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম

রাবি শিক্ষার্থীর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি / ৩২০ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:০৬ অপরাহ্ণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইমরুল কায়েস নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।

ইমরুল কায়েস গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ইমরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। তার বাবা ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়।

ইমরুলের সহপাঠীরা জানান, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তিনি পরিবার ও নিজের জীবন নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ ছিলেন না। তার অস্বাভাবিক আচরণের জন্য পরিবার থেকে এর আগে তাকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারেও রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে মায়ের কাছে মোটরসাইকেল কিনে দিতে বলেন। মোটরসাইকেল কিনেও দেওয়া হয়েছিল তাকে। এরপর মায়ের কাছে ডিএসএলআর ক্যামেরা চান। ক্যামেরা কিনে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন ইমরুল। পরে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ইমরুলের হলের রুমমেট সুকান্ত রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে সে ডিপ্রেশনে (হতাশা) ছিল। ডিপ্রেশন থেকেই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তার সহপাঠীদের মাধ্যমে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইমরুল দীর্ঘদিন ধরেই হতাশাজনক পোস্ট দিয়ে আসছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বিদায়, হাসিমাখা মুখ নিয়ে আর বুকে কষ্ট নিয়ে? আমি কখনো হারিনি, হেরে গেছে ব্যর্থতা। ব্যর্থতা আত্মহত্যার মূল।’

একইদিন তিনি মাগুরায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরির কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দেন ‘প্রথম ও শেষ ভ্রমণ’। এরপরে তার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দেন ‘শেষ মুহূর্ত (লাস্ট মোমেন্ট)’। রিহ্যাবিলিটেশন থেকে ফিরে গত ১০ জুন ফেসবুকে নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘৭১ দিন রিহ্যাব (পৃথিবীর জাহান্নাম) খাটার পর।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!