পাবনার ঈশ্বরদীতে পলাতক ছাত্রলীগ নেতা মানিকের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত ঈশ্বরদী থানায় এ ব্যাপারে কোন মামলা রেকর্ড করা হয়নি বলে মানিকের পিতা ইউনুস আলী জানান।
উল্লেখ্য যে,বিগত ২৪জুন লক্ষিকুন্ডা এলাকার ইটভাটার সামনে ৪/৫ জনের একদল মুখোশ পরা সন্রাসী পাকশী রুপপুরের ছাত্রলীগ কর্মী মনাকে গুলি করে হত্যা করে। মনা পাকশী রুপপুরের টপ টেরর হাত কাটা টুনটুনির ছোট ভাই। এই ঘটনার সূত্র ধরে মনা হত্যার পরের দিন ১৮ জুন ভোর রাতে মোঃ সৌরভ হোসেন টুনটুনি,শাওন ,তনু উভয় পিতা মোঃ তুহিন,দিয়াড় বাঘইল (রুপপুর মোড়) ও ১৮/১৯ জনের সংঘবদ্ধ তাদের স্বজনরা মানিক এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গরাই মনাকে হত্যা করেছে সন্দেহে মানিকের বাড়িতে ঢুকে রুমে অগ্নিসংযোগ করে যাবতীয় আসবাবপত্র,টিভি,কম্পিউটার,হোন্ডা ও বিছানাপত্র পুড়িয়ে দেয়। এত প্রায় ১১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এসময় ঘরের সোনা-দানা,নগদ টাকা লুটপাট করা হয়। এই ঘটনায় বাদী হয়ে মানিকের পিতা ইউনুস আলী একাধিকবার থানায় গিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করলে থানার পক্ষ থেকে এটা সেটা নাই অজুহাতে মামলা পরে করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং এজাহারের দুটি কপিই রেখে দেওয়া হয়।
একাধিক সূ্ত্র জানায়, ২০১৬ সালে পাকশী রুপপুরের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি পিন্টু ও তার কর্মীবাহিনী প্রতিপক্ষ টুনটুনির হাত কেটে হাত নিয়ে হোন্ডা মিছিলসহ সারা শহর প্রদক্ষিন করে। সে সময় মানিক ও চমন পিন্টুর সাথে ছিলেন বলে শোনা যায়। বিষয়টি সে সময় দেশ জুড়ে আলোচনার শীর্ষে অবস্থান করে। পরবর্তীতে টুনটুনির ভাই ছাত্রলীগ কর্মী মনা পিন্টুকে গুলি করলে পিন্টু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এবং তখন থেকেই মানিক ও চমন ফেরারী জীবন য়াপন করছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে । সব শেষে হাতকাটা টুনটুনির ভাই মনা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।