করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাতদিন সরকারি ‘বিধি-নিষেধ বা কঠোর ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরদীতেও চলছে সরকারি ‘বিধি-নিষেধ বা কঠোর ‘লকডাউন’।
রাস্তায় পণ্যবাহী যানবাহন ও রিক্সা চলাচল করছে। তবে বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে বেড় হলে তাকে প্রশাসনের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে টহলে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, চার প্লাটুন বিজিবি ও সেনা বাহিনী টহলে রয়েছে।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মহিবুল ইসলাম খান, ঈশ্বরদীর ইউ এন ও পি এম ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও( ডি এস বি), স্নিগ্ধ আক্তার, ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানসহ প্রশাসনিকর সকল কর্মকর্তা ঈশ্বরদীর গুরুত্ব পূণ স্থানে টহল দেন এবং সবাইকে ঘরে থেকে স্বাস্থ্যবিথি মানার পরামর্শ দেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা এখন করোনার হটস্পট তবে কঠোর এ লকডাউনের বিধি নিষেধ যেন শুধুই শহরে, গ্রামে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই, এমনকি ঘরেই থাকছেন না সাধারন মানুষ।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় গ্রামে আগের মতই নিয়মিত চায়ের দোকানগুলোতে বসছে আড্ডা, দলবেধে চলাফেরা। শহরের তুলনায় গ্রামে প্রশাসনের তৎপরতা কম থাকায় লকডাউন কার্যকর সম্পূর্ণ হচ্ছে না বলে মনে করেন সুধিজন। এছাড়াও লকডাউনের নামে গ্রামে নিয়মিত তাসের আসর জমে উঠেছে। বাড়িতে বাড়িতে কিংবা দোকানপাটে সব জায়গায়তেই নিয়মিত জুয়ায় আসর বলে দিচ্ছে গ্রামে নেই কোনো করোনা ভাইরাস, নেই কোনো লকডাউন।
শহরে প্রশাসনিক টহলের পাশাপাশি গ্রামে নিয়মিত পুলিশি তৎপরতা জোরদার করার অনুরোধ জানিয়েছেন সুশীল সমাজ ও জনপ্রতিনিধিরা। তা না হলে শহরের চেয়ে গ্রামে করোনার বিস্তার আরও মারাত্মক হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।