শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ  ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ ক্লাব আইজিয়ান এর উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত  আওয়ামীলীগ হত্যায় উৎসাহী দল– ঈশ্বরদীতে রুহুল কবির রিজভী  ঈদ উপলক্ষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া  ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

শ্যামলী বাসে আস্থা রেখে সর্বস্ব খোয়ালেন গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর

পাবনা প্রতিনিধি / ১৯১৭ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ

দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সফরে যাতায়াতের নির্ভরযোগ্য পরিবহন হিসেবে শ্যামলী বাসে আস্থা রেখে সর্বস্ব খুইয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) নামে এক গরু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে অচেতন অবস্থায় ব্যবসায়ী  জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী জসীমউদ্দীনকে পাবনা গাছপাড়া একটি তেল পাম্পের নিকট হতে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার খালাইচ্যার বাড়ি গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে এবং তার সহযোগী জসিমউদদীন একই থানার মিনজিরীতলা গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে পাবনা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ঈশ্বরদীর অরণকোলা গরুর হাট থেকে গরু ক্রয় করে চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করে আসছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। দীর্ঘদিনের এই ব্যবসায়িক যাতায়াতে কারণে শ্যামলী বাসের চালক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। সেই আস্থা ও ভরসায় অন্য দিনের মতো (গত সোমবার) ঘটনার রাতেও শ্যামলী পরিবহনের বাস যোগে চট্টগ্রাম থেকে ঈশ্বরদীতে রওনা করেন জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী জসিমউদদীন।

অনুমানিক রাত ১১ টায় গাড়িটি কুমিল্লার নুরজাহান খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি শেষে পুনরায় রওনা করে। পরবর্তীতে যাত্রাকালে কিছুক্ষণ পর বাসের সুপার ভাইজার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে বলেন, ভাই আপনি ঘুমাচ্ছেন না কেন, আপনি ঘুমান, না ঘুমালে বাজারে গরু কিনবেন কি করে, টেনশন করবেন না, আমি আছি আপনি ঘুমান। তাতেও জাহাঙ্গীর হোসেন না ঘুমানোয় কিছুক্ষণ পরে সুপারভাইজার দুটি পান এনে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীকে খেতে দেন। পরদিন সকালে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী অচেতন হয়ে গেলে পাবনা গাছপাড়া নামক স্থানে একটি তৈল পাম্পে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর বলেন, মঙ্গলবার সকালে (দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুবাদে পরিচিত) ঈশ্বরদীর পতিরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা শাকিল হোসেন আমার ফোনে বার বার ফোন দিলে বাসের সুপারভাইজার ফোন রিসিভ করে আমাদের অচেতন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে শাকিল হোসেন আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।

জাহাঙ্গীর হোসেন আরো বলেন, আমাদের ঈশ্বরদী দাশুড়িয়াতে নামার কথা থাকলেও  বাসের সুপারভাইজার আমাদের অচেতন অবস্থায় পাবনার গাছপাড়ায় নিয়ে শাকিল এর কাছে হস্তান্তর করে চলে যায়। তবে আমার কাছে থাকার নগদ ১৭ লক্ষ আশি হাজার টাকা বুঝিয়ে দেননি সুপারভাইজার ।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে  লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসে সুপারভাইজার ডাকা হয়েছিল। পুলিশের একটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!