সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ঈশ্বরদীর দুই সাংবাদিক গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করে নি পুলিশ।
এ দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঈশ্বরদীতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঈশ্বরদীর কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন নিষিদ্ধ যৌন উত্ত্যেজক ওষুধ তৈরীর এসএমই ল্যবরেটরী ইউনানী কারখানা সিলগালা এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেলে মোটর সাইকেলে সলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের মোড়ের পাশে গোপনে এসএমই ল্যবরেটরী ইউনানী নামক একটি কারখানায় নিষিদ্ধ যৌন উত্ত্যেজক সিরাপ তৈরীর খবর সংগ্রহ করতে গেলে এশিয়ান টিভির ঈশ্বরদী প্রতিনিধি রাসেল আলী (২৬) এবং জনদাবীর স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক মুক্তখবরের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি শিশির মাহমুদ কে একাউন্ট ম্যানেজার শিমুল কৌশলে বসিয়ে রাখে। এসময় তারা কারখানার মুল ফটক বন্ধ এবং বিদ্যুৎ এর মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়। পরে মাহাবুব আলম, ম্যানেজার মোঃ শিমুল, মালিকের স্ত্রী শিল্পী খাতুন, হানুফা খাতুন, সুফিয়া খাতুনসহ অজ্ঞাত আরও ঘরে আটকিয়ে বেদম মারধর এবং ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে। লোহার রড, জিআই পাইপ, লোহার হাতুড়ির আঘাতে শিশিরের মাথা ফেটে যায়। সন্ধ্যার দিকে বিজয় টিভির প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম সবুজ আহতদের রক্তাত্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
থানায় এঘটনার অভিযোগ এবং সংবাদ প্রকাশ করা হলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। কারখানার ভেতরে একটি রানার পিকআপে পাবনা-ড-১১-০১৮১ নিষিদ্ধ যৌন উত্ত্যেজক সিরাপ লোড করার ছবি ধারণ করাই ছিলো অপরাধ। এঘটনায় ঐ দিন রাতেই ঈশ্বরদী থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
এদিকে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ, অরবিন্দ সরকার।