র্যাব-৭ এর অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ এলাকা থেকে আনুমানিক ৫১ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৭ হাজার পিস ইয়াবা-ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস জব্দ।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, মানবপাচারকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাইক্রোযোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ আগস্ট ২০২১ তারিখ ১৩৩৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ্ থানাধীন চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কে খাঁজা মোটরস দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি মাইক্রোবাসকে থামানোর সংকেত দিলে চালক মাইক্রোবাসটিকে চেকপোস্টের সামনে থামিয়ে চালক ও হেলপার সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী চালক ১. মো. সালাউদ্দিন (২০), পিতা- মৃত সুরত আলম, সাং-গর্জনিয়া বড়বিল, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার এবং হেলপার ২. মো. জসিম উদ্দিন (৩৩), পিতা-মৃত এস্তাফ আলী, সাং-বোয়ালখালি, জেলা-কক্সবাজার;দের আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানোমতে নিজ হেফাজতে থাকা মাইক্রোবাসের ভিতর চাকার শক অবজারভারের উপরে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থায় ১৭,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৫১ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।