#বাক_স্বাধীনতা
—– ——–
ঘরে শুয়ে অথবা চায়ের দোকানে ফেইসবুকে পদ্মাসেতু নির্মাণ ভুল ধরা বা কলম্বাসকে হটিয়ে নতুন আমেরিকা আবিষ্কার করা এখন সেকেন্ডের ব্যাপার। আবার একই ভাবে জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপের ঘানি টানা গরুরা এখন ভ্লাদিমির পুতিন কিংবা জো বাইডেন এর বড় সমালোচক,মানে সে নিজেই বাইডেন পুতিনের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ, বুদ্ধিমান ! আবার রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে এক দলকে জয়ী ঘোষণা করেন,মানে জয় পরাজয় তার হাতেই !
তারপর পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে বা চাঁদে সাঈদী রাজাকার দেখতে দেখতে বিছানা ভিজিয়ে ৭ দিন গোসল করতেই ভুলে যায় চন্দ্র আনন্দ সুখে!! এরই নাম আপনা পন্ডিতের বাক স্বাধীনতা এবং চন্দ্র বিজয়। এদের সংখ্যা ও তাকে সমর্থনের সংখ্যা সমাজে একেবারে কম নয়। মজার কথা হলো তখন প্রগতিশীল মোড়কে মোড়ানো কিছু বুদ্ধিরা নিজ স্বার্থে এদের নিরব সমর্থন করে এবং এনিয়ে বিনিয়ে না, অথবা, কিন্তু বলতে থাকে! অন্যদের চেয়ে এই সকল বুদ্ধি প্রাণীর সকল সভা,সেমিনার ও মিডিয়াতে কাক ডাকা ভোর পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাক স্বাধীনতা চলমান,তবুও নাকি এদের বাক স্বাধীনতা গিলা হয় না, তবে শেষ কবে এদের এই মহাবিপ্লবে গাছের পাতা নড়েছে তা ইতিহাসের জানা নেই!
এমন কথাবলা মানুষগুলো অনেকটা ৩ জনের সেই ঐতিহাসিক গল্পের মতো,কানা বলে ওকে সমুদ্রে ফেলে দিবো! ল্যাংড়া বলে আমি এক লাথিতে ওকে সমুদ্রে ফেলবো, ফকির বলে মেরে ফেল ল্যাংড়া, তোকে বাঁচাতে যত কোটি টাকা লাগে আমি খরচ করবো !!!
যা হোক ভালো কাজেকে গনতন্ত্র নেই বা ধর্মের দোহাই দিয়ে মুখোশধারী কাপুরুষরা যুগে যুগে গুজব সৃষ্টি করে তার সুযোগে পেছন হতে টেনে ধরেছে ধরবে,আর সমালোচনা করবে এটাই ইতিহাস। তাই বলে ভালোকাজ থেমে থাকে না এবং পশুরা পশু থেকে কখনো মানুষ হতে পারে না,ওরা মুখে সমস্ত আধুনিক শিক্ষা বা আবিষ্কার নাজায়েজ বলবে, কিন্তু নিজে সকল সুবিধা ভোগ করবে! এটাই সায়েন্স….
— লেখকঃ দেওয়ান সবুজ, সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্র সংগঠক।
gdewun@gmail