রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেম্বারের কৃষি জমির মাটি বিক্রয়  ঈশ্বরদীতে ২ টি গাঁজা’র গাছ সহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ  ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৪ জনের মনোনয়ন দাখিল  ঈশ্বরদী তে এমপির নির্দেশে “পৌর ছাত্রলীগের তীব্র দাবদাহে পিপাসা মেটানোর জন্য শরবত বিতরণ” আমার পক্ষে ভোট চাইলে কারো মাথা নিচু হবে না-আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ  ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আমন মৌসুমে ঈশ্বরদীতে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ

শিশির মাহমুদ / ২০১ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আমন মৌসুমে ঈশ্বরদীতে প্রায় ৩৬০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান ও প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালিন সবজি চাষ শুরু হয়েছে। আমনের ভালো ফলন পেতে ও আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের বিড়ম্বনা এড়াতে উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী সকল প্রকার সার মজুদ করা হয়েছে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের তা নায্য মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার অনুমদিত সার ডিলারদের গোডাউন পরিদর্শন করে সারের পর্যাপ্ত মজুদ লক্ষ করা গেছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিসিআইসির ১০ জন এবং বিএডিসির ১১ জন সার ডিলার রয়েছেন। তাছাড়া উপজেলায় মোট ৪০ জনের বেশি খুচরা সার বিক্রেতা নিয়মিত সার বিক্রি করে আসছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী সার বরাদ্দের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৯৯০ মেট্রিকটন। যার মধ্যে ইউরিয়া ৩৪০ মেট্রিকটন, টিএসপি ১০০ মেট্রিকটন, ডিএপি ৩৭০ মেট্রিকটন ও এমওপি ১৮০ মেট্রিকটন।

অক্টোবর মাসে উপজেলায় ইউরিয়া সারের বরাদ্দের পরিমান বাড়িয়ে সাড়ে ৪’শ মেট্রিক টন করা হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিনেও ঈশ্বরদী উপজেলায় সারের মজুদ রয়েছে প্রায় ৩৬৯৯ বস্তা। যার মধ্যে ইউরিয়া ১৩০০ বস্তা, ডিএপি ১৪৪০ বস্তা, এমওপি ৯১৪ বস্তা ও টিএসপি-৪৫ বস্তা।

গত আগষ্ট মাসে উপজেলায় সার বীজ মনিটোরিং সভায় সকল বিসিআইসি ডিলারদের উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস ও কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পি. এম. ইমরুল কায়েস সকল বিসিআইসি ও খুচরা ডিলারদের সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম না নেওয়া এবং প্রতিটি দোকানে লাল ব্যানারে সারের নায্য মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ দেন।

দোকানগুলোতে পাইকারী প্রতি কেজি ইউরিয়া ২২ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা ও এমওপি ১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি কেজিতে ১ টাকা বাড়িয়ে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মিতা সরকার জানান, ঈশ্বরদী উপজেলায় সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ আছে। সারের সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ডিলারদের বরাদ্দকৃত সার সঠিক পরিমাণ উত্তোলন এবং বিক্রি ব্যবস্থা আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ও দাম বেশি নিতে না পারে সে বিষয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে কেউ সার বিক্রি করলে অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!