ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে খাবারে মিলেছে শামুক। সকালে হলের ডাইনিংয়ে নাস্তা খেতে গেলে খিচুড়ির ভেতর শামুক পান এক শিক্ষার্থী। পরে এ ঘটনাটি কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ৯ অক্টোবর বিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি নোটিশ দিয়ে দুটি ছাত্রী হলে মাসে ৩০টি মিল খাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। তার মধ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও আছে। হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের খাবারের মান অত্যন্ত নিম্ন। তারপরও হলের ডাইনিংয়ে খাওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে।
সকালে হলের ডাইনিংয়ে নাস্তা খেতে যান ঐশী নামের এক শিক্ষার্থী। খাবারের মেন্যুতে ছিল খিচুড়ি। তিনি খিচুড়িতে শামুক দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, হলের খাবারের মান নিয়মিত তদারকি করা হয় না। যেদিন কেউ তদারকিতে আসেন, তখন তাদের জন্য স্পেশাল রেসিপি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নিলুফার বানু বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টির খোঁজ নিতে একজন হাউজ টিউটরকে পাঠিয়েছি। ডাইনিং ম্যানেজারকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কিভাবে আরও উন্নত খাবার নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আমরা সামনের মিটিংয়ে আলোচনা করবো।