পাবনার ঈশ্বরদীতে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিএনপি’র ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) প্রথম প্রহরে উপজেলার সলিমপুর, সাহাপুর, লক্ষীকুন্ডা ও পাকশী ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ, সলিমপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক করিরুজ্জামান রেন্টু, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রানা বিশ্বাস, সলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাস, ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, ঈশ্বরদী পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মনির হোসেন ও সাহাপুর যুবদলের সদস্য রমজান আলী।
আটককৃতদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতেরও কাজকর্ম শেষে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত একটা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সদস্যরা তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। সারাদিন থানায় আটকে রেখে বৃহস্পতিবার বিকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, অনেক নেতাকর্মীদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই, যাদের মামলা আছে তারাও জামিনে রয়েছে। তারপরও তাদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। মুলত ২৮ তারিখে ঢাকায় আমাদের মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে এই গ্রেফতার অভিযান চলছে। কিন্তু কোনো মতেই এই মহাসমাবেশ আটকানো সম্ভব নয়।