করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ এ গিয়েছে সারাদেশ।এর মধ্যেও প্রতি দিনই করোনা আক্রান্ত মৃত্যু হার বাড়ছে। নিম্নবর্গের পরিবারের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা যেন একপ্রকার চাপ হয়ে দাড়িয়েছে।এজন্য সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেজজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গরিব মানুষের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে,বিনামূল্যে পরীক্ষা শুধু জুলাই মাসে করা হবে । তারপরে আবার নির্ধারিত মূল্যে পরীক্ষা করাতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কোভিড-১৯পরীক্ষা বাড়িয়ে আক্রান্তদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো জরুরি।
প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করার আগ্রহ বরাবরই কম ছিলো বলে জানিয়ে আসছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।এখন সংক্রমণ অতি মাএাই বেড়ে যাওয়ায় এক পরিবারে অনেকের এক সঙ্গে পরীক্ষা করাতে গিয়ে চাপে পড়ছে বলে বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়, সারাদেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোভিডের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার ফি দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একই পরিবারের একাধিক সদস্যেদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়, সারাদেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোভিডের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় দেখা দিয়েছে।
পরীক্ষার ফি দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একই পরিবারের একাধিক সদস্যের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় দেশের দরিদ্র জনগণের কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুধু জুলাই মাসের জন্য বিনামূল্যে করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষার উপযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারণ করা হবে কীভাবে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, যারা নমুনা পরীক্ষা করাতে আসবেন, তাদের সবাইকে একটা ফর্ম দেওয়া হবে। সেখানে লেখা থাকবে ওই ব্যক্তি ১০০ টাকা ফি দিতে পারবেন কি না….?
“ওই ব্যক্তি যদি বলেন তিনি গরিব, ১০০ টাকা দিতে পারবেন না। তখন তাকে বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষা করে দেওয়া হবে।”
অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন,বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সিদ্ধান্তটাও আরও ১৫ দিন আগের ছিল। তখন এটা শুধুমাএ সীমান্তবর্তী জেলা গুলোর জন্য করা হয়েছিল।সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, প্রতিটি নমুনা পরীক্ষায় সরকারিভাবে এখন ১০০ টাকা নেওয়া হলেও ২৭০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
করোনা ভাইরাস শনাক্তে দেশে সরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। বেসরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষা করালে অন্ততপক্ষে ৩ হাজার টাকা মতো খরচ হয়।সরকারিভাবে মূলক আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা হয়। পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও হয়। বেসরকারিভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।