রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীর ২ ইট ভাটায় অভিযান// দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় ঈশ্বরদীতে ঘরবাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীতে অবৈধ বালু মহল চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ঈশ্বরদীতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেম্বারের কৃষি জমির মাটি বিক্রয়  ঈশ্বরদীতে ২ টি গাঁজা’র গাছ সহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ  ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৪ জনের মনোনয়ন দাখিল  ঈশ্বরদী তে এমপির নির্দেশে “পৌর ছাত্রলীগের তীব্র দাবদাহে পিপাসা মেটানোর জন্য শরবত বিতরণ” আমার পক্ষে ভোট চাইলে কারো মাথা নিচু হবে না-আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ 

দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে দাশুড়িয়া ভূমি অফিস

ঈশ্বরদী, পাবনা প্রতিনিধি / ৩২৯ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:১৬ অপরাহ্ণ

দাশুড়িয়া ভূমি অফিসের সীমাহীন দূর্নীতিতে দিশেহারা সেবা প্রত্যাশিরা। সেই সাথে ভূমি অফিসের দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রচারের পরও প্রশাসনের নিরবতায় আতঙ্ক দানা বাধতে শুড়ু করেছে জনমনে। জমির পিছে ঘুরতে ঘুরতে জমিটাই না হারিয়ে যায় অবশেষে এই শঙ্কাতেই বিভোর ভুক্ত ভোগীরা !

এমনই রোমহর্ষক বর্ণনায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিসে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন উপজেলার কালিকাপুর এলাকার মোছা. শিউলি খাতুন, নওদাপাড়ার মো. পাপ্পু সরদার, রহিদুল ইসলাম, ভাড়ইমারী এলাকার মো. খালেক বিশ্বাস, মারমী এলাকার মো. বজলুর রহমান প্রমুখ।

অভিযোগ কারীরা জানান, এখানে দালালের দৌড়াত্ব আর কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতির কাছে নিমজ্জিত আমরা সবাই। কেননা এখানে টাকা ছাড়া কোন সেবাই মেলেনা।

৭ বছর আগে জমির খারিজ করতে দাশুড়িয়া ভূমি অফিসে এসেছিলেন কালিকাপুর এলাকার মোছা. শিউলি খাতুন। দুই দিন ভূমি অফিসে বেকার ঘোরার পর মো. মস্ত ওরফে মোস্তফা নামের এক দালালের খপ্পরে পরে খারিজের জন্য ৭ হাজার টাকায় চুক্তি করেন শিউলি। সে সময় মস্ত অফিসের স্টাফ এবং সহকারী নায়েবের একান্ত আস্থা ভাজন বলে নিজেকে জাহির করেন । কথা বলায়ে দেন নায়েবের সাথেও। চুক্তি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পাদনের কথা থাকলেও এক এক করে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা এবং কাজ কোনটাই পাননি শিউলি।

অভিমান করে শিউলি বেগম বলেন, আমি গত সাত বছর যাবৎ আমার জমির কাগজ পাতি ঠিক করার জন্য হন্নে হয়ে ঘুরছি এদের পিছে। কত হাজার টাকা যে গাড়ী ভাড়া দিয়েছি, কত দিন, কত ঘন্টা যে এই ভূমি অফিসে থেকেছি তার ইয়ত্তা নেই। তবুও আমার কাজটা করে দেয়না এরা।

মো. পাপ্পু সরদার বলেন, প্রায় এক বছর হতে চলল ৩ (তিন) হাজার টাকা চুক্তিতে জমির খাজনা খারিজ করতে দিয়েছি । টাকাও দেয়না, কাগজও দেয়না। জোর করে চাইলে আবার হুমকি দেয়।

তিনি জানান, একবার টাকা আর কাগজ দুটোই চেয়েছিলাম নিজেই কাজ করব বলে, কিন্তু এরা আমাকে বলেছিলো নিজে করেন আর যেই করুন কাজ আর কাগজ তো আমাদের হাতেই আসবে তখন দেখব কাজ কিভাবে সম্পন্ন করেন ?

নওদাপাড়া এলাকার মো. রেজাউল করিমের ছেলে মো. রহিদুল ইসলাম বলেন, আমার দাদার ক্রয়কৃত সম্পত্তি এরা টাকার বিনিময়ে অন্যজনের নামে খারিজ করে দিয়েছে।

ভাড়ইমারী এলাকার মো. খালেক বিশ্বাস বলেন, খারিজ করতে ৪৫০০ শত টাকা নিয়েছে, দুই মাসে কাজ করে দেবে বললেও পেরিয়ে গেছে বছর। কাজতো পাই নাই, কবে পাব তাও বলে না।

মারমী এলাকার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ২ মাসের মধ্যে কাজ করে দেবেন বলে ৪০০০/ চার হাজার টাকা নিয়েছিলো দাশুড়িয়া ভূমি অফিসের সহকারী নায়েব মো. সিরাজ উদ্দিন। আজ ৮ মাস পেরিয়ে গেছে কাজের কচুটাও হয়নি। আসলে শুধু তারিখ দেয়। এভাবে আর কতদিন চলবে জানা নাই ।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মূল হোতা দাশুড়িয়া ভূমি অফিসের সহকারী নায়েব মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, এসব বিষয়ে লিখে আপনার লাভ কি ? তিনি সংবাদ কর্মীকে উৎকোচ গ্রহনের প্রস্তাব দেন ।

জানতে চাইলে দাশুড়িয়া ভূমি অফিসের নায়েব মো. হারুন অর-রশিদ তার দায় সারা জবাবে জানান, এসবের কিছুই আমার জানা নেই। সিরাজ সাহেব যদি এগুলো করে থাকেন তবে সেটা তার অন্যায় হয়েছে এবং যারা তাকে টাকা বা কাজ দিয়েছে তারাও সমান অন্যায় করেছে।

নায়েবের এমন সরল মন্তব্যে তার কাছে ভুক্ত ভোগীদের করা অভিযোগের কোন সদুত্তর তিনি দেননি।

এমতাবস্তায় অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিসহ ভূমি অফিসে সেবার মান ফিরিয়ে আনার দাবি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী নাগরিকসহ সচেতন এলাকাবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!