বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, সিলেট বিএনপির প্রাণ, দুর্দিনের কান্ডারী, জননেতা জনাব এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান ভাইকে বিএনপির রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার দাবিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন বতুল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাংঘটনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন (আরিফ), ছাত্রদল নেতা নিজাম উদ্দিন, উপজেলা জাসাস দলের সভাপতি শফিকুর রহমান, উপজেলা বিএন পি নেতা ও উপজেলা জাসাস দলের সাধারণ সম্পাদক বিলাল আহমদ, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন সভাপতি ইলিয়াস আলী(এলাইচ) সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়াসহ ছাত্রদল, শ্রমিক দল, ও বিএনপির অংঘ সংঘটনের নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন আরিফ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে অত্যন্ত ব্যথিত চিত্তে তৃণমুল নেতৃবৃন্দের পক্ষে দেশবাসীকে কিছু কথা বলতে চাই, ‘সিলেটের রাজপথ কাঁপানো জননেতা অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে’।
গত ১৮ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবরে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পদত্যাগপত্রে এবং সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট জামান তার পদত্যাগের কারণ সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
আপনারা জানেন যে, এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান পদত্যাগের আগ পর্যন্ত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক। এর আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিলেটের সভাপতি। তার হাত ধরেই সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তারও আগে ছাত্রদল এবং যুবদলকেও একইভাবে সিলেটে শক্তিশালী করতে কাজ করেন জামান। তিনি ১৯৯৮ সালে দলের কাউন্সিলে বিপুল ভোটে সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আপনাদের সবারই জানা আছে যে, এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান এমন একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক সংগঠক, যিনি আন্দোলন-সংগ্রামকেই জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
বর্তমান সরকারের শাসনামলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে প্রায় ৩৫টি মামলার আসামি হয়েছেন।
ওয়ান ইলেভেনের সময় ফখরুদ্দীন মঈন উদ্দীন আর পরে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের শত নির্যাতন উপেক্ষা করে শামসুজ্জামান জামান খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়ে গেছেন। সিলেটের সিংহ পুরুষ জনাব ইলিয়াস আলী গুমের পর থেকে আন্দোলন করতে গিয়ে একের পর এক মামলায় আসামি হয়েছেন।
প্রায় ১০ বছর পর এডভোকেট জামান সম্প্রতি সব মামলা থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। মুক্ত বাতাসে তিনি যখন আবারও দলীয় কার্যক্রম সক্রিয় করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলেন। এমন সময়
সিলেটের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
মূল দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হলেও তাকে না জানিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। দলের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা সংসার ত্যাগী হয়েছেন, মামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই কমিটিতে তাদের ঠাঁই হয়নি। আবার অনেকেই লবিং করে পদবি ভাগিয়ে নিয়েছেন।
দেশ মাতৃকার টানে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে রাজনীতি করছেন এডভোকেট জামান। দলের দুর্দিনে সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশ ও দলের প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দলকে সিলেটে সুসংগঠিত ও সুসংহত করেছেন। নীতি ও আদর্শের সঙ্গে তিনি কখনোই আপস করেননি। অথচ কমিটি গঠনসহ সিলেটের রাজনীতিতে তাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এজন্য আমরা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরমভাবে ব্যথিত এবং মর্মাহত হয়েছি।
আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, সামসুজ্জামান জামানের বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাধান করে রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন।