সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীর ২ ইট ভাটায় অভিযান// দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় ঈশ্বরদীতে ঘরবাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীতে অবৈধ বালু মহল চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ঈশ্বরদীতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেম্বারের কৃষি জমির মাটি বিক্রয়  ঈশ্বরদীতে ২ টি গাঁজা’র গাছ সহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ  ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৪ জনের মনোনয়ন দাখিল  ঈশ্বরদী তে এমপির নির্দেশে “পৌর ছাত্রলীগের তীব্র দাবদাহে পিপাসা মেটানোর জন্য শরবত বিতরণ” আমার পক্ষে ভোট চাইলে কারো মাথা নিচু হবে না-আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ 

রুপপুর বালিশ-কাণ্ডে গণপূর্তের প্রকৌশলীসহ ৭ জনের জামিন বাতিলে হাইকোর্টে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৫৯ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১, ২:০৯ অপরাহ্ণ
ছবি: ফাইল

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশ ও আসবাবপত্র কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ সাতজনকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের দ্বৈত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি গন মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমির উদ্দিন মানিক।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মুহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমির উদ্দিন মানিক

এর আগে, গত জুন মাসে ১৩, ১৫ ও ১৬ তারিখে পাবনার আদালত বালিশ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। সেই আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

এদিকে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এ সাত আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল করেছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম ছাড়া বালিশ কাণ্ডে অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান ও মোস্তফা কামাল, উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক ও আমিনুল ইসলাম।

রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশ-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক পাবনায় চারটি মামলা দায়ের করে। দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসব মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করতে গণপূর্ত অধিদফতরের কতিপয় প্রকৌশলী রূপপুর গ্রিন সিটির ২০ তলা ফাউন্ডেশনের ৬ ইউনিটবিশিষ্ট এক নম্বর ভবনের কিছু সিভিল এবং ই/এম ওয়ার্কসহ আইটেম কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য থেকে বেশি মূল্য দেখানো হয়। অতিরিক্ত পরিবহন খরচ, তলাভিত্তিক উত্তোলন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি যোগ করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়।

রূপপুর প্রকল্পের বালিশ কেলেঙ্কারি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, প্রকল্পের রাশিয়ান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯৬৬টি ফ্ল্যাটের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে বিভিন্ন আইটেমের ক্রয়মূল্য বাজার মূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক বেশি ধার্য করা হয়। এতে প্রতিটি বালিশের দাম ৫৯৫৭ টাকা এবং বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর জন্য ৭৬০ টাকা ধরা হয়। এছাড়াও বৈদ্যুতিক চুলা ৭৭৪৭ টাকায় কিনে নিচতলা থেকে উপরে তোলার জন্য ৬ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ঘটনা জানাজানি হলে আবাসন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, গ্রিনসিটি প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়টি কমিশন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আবাসন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।

ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি অনিয়মের অভিযোগে গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের গণপূর্তের পাবনার প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। ২২ মে প্রকৌশলী মাসুদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সর্বশেষ তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম জিল্লুর রহমান, পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তাহাজ্জুদ হোসেন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহম্মেদ সাজ্জাদ খান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক, সহকারী প্রকৌশলী রুবেল হোসাইন, আমিনুল ইসলাম, রওশন আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী ফজলে হক, সুমন কুমার নন্দী, রফিকুজ্জামান, জাহিদুল কবীর, শাহীন উদ্দিন, আবু সাঈদ ও শফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শফিকুর রহমানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!